বহুনির্বাচনী প্রশ্ন:
১। নিচের কোনটি রক্ত কোষ নয়?
ক. এরিথ্রোসাইট
খ. লিম্ফোসাইট
গ. লিউকোসাইটোসিস
ঘ. প্লেটলেট
২। কোনটি রেচন পদার্থ?
ক. প্রোথম্বিন
খ. এলবুমিন
গ. ক্রিয়েটিনিন
ঘ. গ্লোবিউলিন
৩। কোনটিতে DNA থাকে?
ক. WBC
খ. RBC
গ. Platelet
ঘ. Thrombocyte
৪। কোনটি গ্রানুলোসাইট নয়?
ক. নিউট্রোফিল
খ. লিম্ফোসাইট
গ. ইওসিনোফিল
ঘ. বেসোফিল
৫। কোনটি ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় না?
ক. মনোসাইট
খ. লিম্ফোসাইট
গ. নিউট্রোফিল
ঘ. কোনটি নয়
৬। কোন শ্বেত রক্ত কোষ প্রতি ঘনমিলিমিটার এ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ এ থাকে?
ক. নিউট্রোফিল
খ. লিম্ফোসাইট
গ. মনোসাইট
ঘ. বেসোফিল
৭। কোন রোগটিকে ব্লাড ক্যান্সার বলা হয়?
ক. এনিমিয়া
খ. লিউকেমিয়া
গ. থ্যালাসেমিয়া
ঘ. পলিসাইথেমিয়া
৮। কোন রক্ত সব ধরনের রক্তের গ্রুপের ব্যক্তিকে দেয়া যাবে?
ক. AB+
খ. AB-
গ. O+
ঘ. O-
৯। কার্বন ডাইঅক্সাইড যুক্ত রক্ত সারা দেহ থেকে হৃৎপিণ্ডের কোন প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করে?
ক. ডান অলিন্দ
খ. ডান নিলয়
গ. বাম অলিন্দ
ঘ. বাম নিলয়
১০। RBC এর কাজ গুলো হলো -
i. অক্সিজেন সরবরাহ করা
ii. সিংহভাগ কার্বন ডাইঅক্সাইড বহন করা
iii. রক্তের বাফার হিসেবে কাজ করা।
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন:
নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ক. সিরাম কী?
খ. রক্ত কিভাবে জমাট বাঁধে? বুঝিয়ে লিখ।
গ. মানবদেহে চিত্রের B চিহ্নিত কোষের ভূমিকা ব্যাখা করো?
ঘ. "চিত্রের A ও C একই যোজক কলায় অবস্থিত হলেও এদের কাজ ভিন্ন।" -উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর :
ক. রক্ত থেকে রক্তকণিকা এবং রক্ত জমাট বাঁধার জন্য যে প্রয়োজনীয় প্রোটিন আছে, সেটাকে সরিয়ে নেওয়ার পর যে তরলটি রয়ে যায়, তাকে সিরাম বলে।
খ . অণুচক্রিকার প্রধান কাজ হলো রক্ত তঞ্চন করা বা জমাট বাঁধানোতে (blood clotting) সাহায্য করা।
যখন কোনো রক্তবাহিকা বা কোনো টিস্যু আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কেটে যায়, তখন সেখানকার অণুচক্রিকাগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে অনিয়মিত আকার ধারণ করে এবং প্রস্বোপ্লাসটিন (Thromboplastin) নামক পদার্থ তৈরি করে। এ পদার্থগুলো রক্তের প্রোটিন প্রোথ্রমবিনকে থ্রমবিনে পরিণত করে। থ্রমবিন পরবর্তী কালে রক্ত রসের প্রোটিন- ফাইব্রিনোজেনকে ফাইব্রিন জালকে পরিণত করে রক্তকে জমাট বাধায় কিংবা রক্তের তঞ্চন ঘটায়। ফাইব্রিন একধরনের অদ্রবণীয় প্রোটিন, যা দ্রুত সুতার মতো জালিকা প্রস্তুত করে। এটি ক্ষত স্থানে জমাট বাঁধে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। এ প্রক্রিয়ার জন্য আরও বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ এবং ভিটামিন K ও ক্যালসিয়াম আয়ন জড়িত থাকে।
গ. উদ্দীপকে প্রদর্শিত 'B' চিহ্নিত কোষটি শ্বেত রক্তকোষ বা রক্তকণিকার। মানবদেহে শ্বেত রক্তকণিকার ভূমিকা অপরিসীম। শ্বেত রক্তকণিকা মানবদেহে নিম্নলিখিত কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখে।
১. লিম্ফোসাইট শ্বেত কণিকা বা শ্বেতকোষ অ্যান্টিবডি গঠন করে এবং এ অ্যান্টিবডির সাহায্যে দেহে প্রবেশ করা রোগজীবাণু ধ্বংস করে। ফলশ্রুতিতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২. মনোসাইট ও নিউট্রোফিল শ্বেত কণিকা বা শ্বেতকোষ ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে।
৩. ইওসিনোফিল ও বেসোফিল হিস্টামিন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত করে দেহে এলার্জি প্রতিরোধ করে।
৪.বেসোফিল হেপারিন নিঃসৃত করে রক্তকে রক্তবাহিকার ভেতরে জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।
ঘ. উদ্দীপকে প্রদর্শিত চিত্র 'A' চিহ্নিত কোষগুলো লোহিত রক্তকোষ বা রক্তকণিকা বা এবং চিত্র 'C' চিহ্নিত কোষগুলো অণুচক্রিকা। লোহিত কণিকা ও অণুচক্রিকা উভয়েই তরল যোজক কলা রক্তের অংশ। একই যোজক কলায় অবস্থিত হলেও এদের কাজ ভিন্ন। নিম্নে তা বিশ্লেষণ করা হলো-
লোহিত কোষের কাজ:
১. দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করা।
২. নিষ্কাশনের জন্য কিছু পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইডকে টিস্যু থেকে ফুসফুসে বহন করা।
৩. লোহিত কোষের হিমোগ্লোবিন রক্তের অম্ল-ক্ষারের সমতা বজায় রাখার জন্য বাফার হিসেবে কাজ করে।
অণুচক্রিকার কাজ:
অণুচক্রিকার প্রধান কাজ হলো রক্ত তঞ্চন করতে সাহায্য করা।
সুতরাং লোহিত রক্তকোষ ও অণুচক্রিকা একই যোজক কলায় অবস্থিত হলেও এদের কাজ আলাদা।
.png)

0 Comments